অবশেষে বরিশাল বন্দর থানার সেই ওসিকে বদলি

অবশেষে বরিশাল মেট্রোপলিটন বন্দর (সাহেবেরহাট) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা হায়দারকেও শাস্তিমূলক বদলি করা হয়েছে।

রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে তাকে থানা থেকে সরিয়ে নগর বিশেষ (সিটিএসবি) শাখায় সংযুক্ত করা হয়। ওই থানায় নতুন ওসি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বরিশাল মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা (ডিবি) ইউনিটের পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন।

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের জারি করা এই আদেশ রোববার রাতেই কার্যকর হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

উল্লেখ করা যেতে পারে, বন্দর (সাহেবেরহাট) থানার ওসি গোলাম মোস্তফা হায়দারের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণসহ মামলা নেওয়ার ক্ষেত্রে নানা অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। সর্বশেষ তিনি থানার বকশি ফাইজুল ইসলামের সহযোগিতায় ভূমি সংক্রান্ত একটি মামলায় বাদির কাছ থেকে ৩ লাখ টাকা ঘুষ নেন। এই বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ পেলে শুরু হয় তোলপাড়।

সেই সংবাদের পরে বকশি ফাইজুল ইসলামকে তাৎক্ষণিক থানা থেকে শাস্তিমূলক সরিয়ে বিতর্ক এড়াতে উদ্যোগ নেন মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান। পাশাপাশি তিনি ঘটনাটি জোরালোভাবে তদন্তের নির্দেশও দেন।

অবশ্য পুলিশ কমিশনার শুরুতেই ঘোষণা দিয়ে আসছিলেন ওসির বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের বিন্দু পরিমাণ সত্যতা মিললে কোন তাকে ধরণের ছাড় দেওয়া হবে না। বরং ওসির বিরুদ্ধে তিনিও এই ঘটনায় শাস্তি গ্রহণে সুপারিশ চাইবেন কেন্দ্রীয় পুলিশের কাছে।

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, ঘুষ কেলেংকারির ঘটনাটি ‌দ্রুত তদন্ত করে সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেন সংশ্লিষ্ট বন্দর থানার সহকারী কমিশনারকে (এসি)। সেই তদন্তের মাঝামাঝি সময়ে বকশি ফাইজুল ইসলামকে থানা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে ঘুষ গ্রহণ সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদনটি হাতে পাওয়ার পরে এবার ওসিকেও শাস্তিমূলক বদলি করা হল।

যদিও এই বদলি আদেশকে শাস্তিমূলক নয় দাবি করে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা হায়দার বলছেন, রুটিন মাফিক তাকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

এদিকে এই বিষয়ে পুলিশের দায়িত্বশীল কেউ মন্তব্য না করলেও একাধিক কর্মকর্তার সাথে আলাপচারিতায় ওসিকে শাস্তিস্বরুপ বদলির বিষয়টি অনুমান করা গেছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন